প্রতিষ্ঠা: ১৯৭৩ সালের ২৭ নং রাষ্টপতি আদেশ অনুসারে, জলবায়ু-নির্ভর অনিশ্চিত ও ঝুঁকিপূর্ণ কৃষি খাতে অর্থায়নের জন্য দেশের বৃহত্তম বিশেষায়িত ব্যাংক হিসেবে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক(বিকেবি) প্রতিষ্ঠিত হয়। বিকেবি আমানত, ঋণ, অনলাইন ব্যাংকিং, কম্পিউটারাইজড ব্যাংকিং, স্বয়ংক্রিয় বৈদেশিক রেমিটেন্স সিস্টেম এবং বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনসহ সকল প্রকার ব্যাংকিং কার্যক্রম সম্পাদন করে।
মূলধন: সরকার কতৃক নির্ধারিত ব্যাংকের অনুমোদিত মূলধন ১৫,০০ (পনের শত) কোটি টাকা মাত্র এবং পরিশোধিত মূলধন ৯০০ (নয়শত) কোটি টাকা মাত্র।
পরিচালনা পর্ষদ: সরকারী নীতিমালা এবং নিয়ন্ত্রক সংস্থার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ব্যাংক পরিচালনার জন্য বিকেবি’র একটি প্রশংসনীয় পরিচালনা পর্ষদ রয়েছে যা সরকার কর্তৃক নিযুক্ত চেয়ারম্যান ও দশ জন পরিচালক নিয়ে গঠিত।
বিকেবি’র মূল ব্যবসা: ডিপোজিট অপারেশনাল একাউন্টস: বিকেবি সেভিংস একাউন্ট খুব সহজে আপনার ব্যাংকিং লেনদেন পরিচালনার স্বাধীনতা দেয়। ন্যূনতম ১৮ বছর বয়সী বাংলাদেশের যে কোন ব্যক্তি বা ব্যক্তিরা মিলে এককভাবে বা যৌথভাবে বিকেবি’র যে কোন শাখায় সেভিংস একাউন্ট খুলতে পারে ও পরিচালনা করতে পারে। আকর্ষনীয় এ্যামাউন্টের উপর আমাদের সুদের হার প্রতিযোগিতামূলক।
এছাড়া, সকল একাউন্ট হোল্ডাররা কিউ-ক্যাশ ডেবিট র্কাড এবং ২৪ ঘন্টা এটিএম সুবিধার মাধ্যমে ব্যাংকিং সেবা পেয়ে থাকেন।
আমানত প্রকল্প :
বিকেবি র্দীঘ মেয়াদী আমানত রশিদ (এফডিআর) একাউন্ট, মাসিক সঞ্চয় প্রকল্প(এম এস এস), বিকেবি মাসিক মুনাফা প্রকল্প, সময় আমানত(বিকেবি’র নিজস্ব সেবা)।
ঋণ কর্মসূচী:
বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক(বিকেবি) বাংলাদশে কৃষি ঋণের অগ্রদূত। বিকেবি কৃষক, প্রান্তিক কৃষক, অতি দরিদ্র, বর্গা চাষী এবং সাধারন জনগনের জন্য ঋণ সুবিধা দিয়ে থাকে যারা কৃষি উৎপাদন এবং গ্রামীণ অর্থনীতির সফলতার মূল পরিচালক।
আন্তর্জাতিক ব্যাংকিং:
১৯৮০ সাল থেকে বিকেবি বৈদেশিক মুদ্রা ব্যবসার সাথে জড়িত। এটি সব ধরণের রপ্তানি, আমদানি, রেমিট্যান্স এবং অন্যান্য বৈদেশিক মুদ্রা ব্যবসার সাথে সম্পর্কিত।
কর্পোরেট অর্থায়ন:
ব্যাংকটি অনেক বছর ধরে দেশের স্বনামধন্য কর্পোরেট সংস্থাগুলোকে অর্থায়ন করে আসছে। এটি কোম্পানির কৃষি পণ্য বিপণন মাধ্যমকে সহজ শর্তে এবং কম সুদে ব্যবহারের একটি নতুন দ্বার উন্মোচন করেছে।
দারিদ্র্য বিমোচন ও এমসিপি :
কৃষি ও কৃষিভিত্তিক খাতে ঋণ সুবিধা সম্প্রসারণের মাধ্যমে গ্রামীণ অর্থনীতিকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে বিকেবি অর্ডার ১৯৭৭ এর অধীনে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। বিকেবি’র আইসিটি সেবা: কম্পিউটার ও আইটি সেবা ব্যাংকিং ব্যবস্থায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। পরবর্তীতে, কম্পিউটার সিস্টেমের মাধ্যমে ব্যাংকিং সেবায় নিয়ন্ত্রণ ও কর্তৃপক্ষকে কেন্দ্রীভূত করা সম্ভব হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক কম্পিউটারাইজেশন, কম্পিউটারাইজড ব্যাংকিং এবং কোর ব্যাংকিং সলিউশন(অনলাইন ব্যাংকিং), অটোমেটেড টেলার মেশিন(এটিএম), ব্যাচ, আরটিজিএস, এনপিএসবি সেবা চালু করেছে। বিকেবি তার মূল্যবান গ্রাহকদের আধুনিক ও সর্বোচ্চ ব্যাংকিং সুবিধা প্রদানের জন্য ডিজিটালাইজেশনে অগ্রসর হয়েছে ।
এক নজরে বিকেবি সুনামগঞ্জ মুখ্য অঞ্চল :
বিষয় | বৈশিষ্ট্য |
আঞ্চলিক কার্যালয়ের কার্যক্রম আরম্ভ | ২৯-০৮-১৯৮৩ খ্রি. |
মুখ্য আঞ্চলিক কার্যালয়ের কার্যক্রম আরম্ভ | ২২-০৯-২০১৪ খ্রি. |
সুনামগঞ্জ জেলার মোট উপজেলার সংখ্যা | ১২টি |
পৌরসভা | ৪টি |
মোট ইউনিয়ন সংখ্যা | ৮৭টি |
মোট গ্রাম | ২৮৮৭টি |
মোট আয়তন | ৩৭৪৭.১৮ বর্গ কি.মি. |
মোট জনসংখ্যা | ২৪,৬৭,৯৬৮ জন (আদমশুমারী ২০১১) |
জনসংখ্যার ঘনত্ব | ৬৫৯ জন (প্রতি বর্গ কি.মি.) |
উল্লেখযোগ্য কৃষিজ | ধান, মরিচ, আলু, টমেটো। |
অর্থনীতি | প্রধান ফসল ধান। তাছড়া মৎস্য, পাথর শিল্প, সিমেন্ট শিল্প। |
মোট জমি | ৩,৭৯,২১৬ হেক্টর |
মোট আবাদী জমি | ২,৭৬,৪৩৪ হেক্টর |
মোট কৃষি পরিবার | ২,৯৪,১০৯টি |
পেশা (কৃষি কাজের উপর নির্ভরশীল) | ৪৩.৮৬% |
বিভিন্ন ব্যাংকের শাখা | ৯০টি |
মোট শাখার সংখ্যা | ৩০টি |
পৌরসভার মধ্যে শাখার সংখ্যা | ৪টি |
উপজেলা শাখার সংখ্যা | ৮টি |
ইউনিয়ন শাখার সংখ্যা | ১৮টি |
এসএসিপি ইউনিয়ন সংখ্যা | ৪৭টি |
নন-এসএসিপি ইউনিয়ন সংখ্যা | ৪০টি |
ঋণগ্রহিতার সংখ্যা | ১,০১,৩৬৯টি (৩১.০৩.২০২৪ তারিখ ভিত্তিক) |
মোট ঋণের পরিমাণ | ৪৪৭.৩১ কোটি |
আমানত হিসাবের সংখ্যা | ৩,৮০,৮৬৪টি (৩০.০৬.২০২৩ তারিখ ভিত্তিক) |
মোট আমানতের পরিমাণ | ৭০৬.৭৫ কোটি (০৩-০৪-২০২৪ তারিখ ভিত্তিক) |
মুনাফা অর্জনকারী শাখার সংখ্যা | ১৮টি (৩১-০৩-২০২৪খ্রি: তারিখ ভিত্তিক) |
লোকসানী শাখার সংখ্যা | ১২টি (৩১-০৩-২০২৪খ্রি: তারিখ ভিত্তিক) |
অঞ্চলের অনুমোদিত জনবল সংখ্যা | ৩৬৬ জন |
অঞ্চলের বর্তমান জনবল সংখ্যা | ১৮৬ জন |
শিল্প কারখানা | ০৫টি। ১) ছাতক সিমেন্ট ফ্যাক্টরি ২) টেকেরঘাট চুনাপাথর খনি প্রকল্প ৩) লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট ফ্যাক্টরি ৪) ছাতক পাল্প এন্ড পেপার মিলস ৫) আকিজ ফুড এন্ড বেভারেজ লি: |
দর্শনীয় স্থান | ১) টাঙ্গুয়ার হাওর ২) হাছন রাজার বাড়ি ৩) লাউড়ের গড় ৪) ডলুরা স্মৃতি সৌধ ৫) দোহালিয়া জমিদার বাড়ি ৬) ধলমেলা অনুষ্ঠান স্থল ৭) টেকেরঘাট চুনাপাথর প্রকল্প ৮) পনাতীর্থ ধাম ৯) গৌরারং জমিদার বাড়ি ১০) টেংরাটিলা গ্যাস ফিল্ড ১১) টাউনহল জামে মসজিদ। |